র্যাব প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, প্রতারক, হত্যা এবং ধর্ষণ মামলার আসামিসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম ও স্কোয়াড কমান্ডার মোঃ ইমদাদ হোসেন বিপুল এর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জয়পুরহাট জেলার সদর থানধীন পৌরসভাস্থ ০৫ নং ওয়ার্ডের চিত্রাপাড়া অন্তর্গত তামিম ছাত্রাবাসের একটি তালাবদ্ধ রুমের ভিতর হতে ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ০২ঃ৩০ ঘটিকায় ১। মোঃ সাব্বির হোসেন (৩০),পিতা- মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক ,২। মোঃ রতন মন্ডল (৩২), পিতা-মৃত খলিল মন্ডল ,উভয়ের সাং-চিত্রাপাড়া,থানা ও জেলা- জয়পুরহাটদ্বয়কে ১৫০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান তারা জব্দকৃত আলামত গাঁজা বিভিন্ন এলাকা হতে সংগ্রহ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখেছে বলে সাক্ষীদের সম্মুখে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদ্বয় পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে গাঁজা সংগ্রহ করে জয়পুরহাট,নওগাঁ ও দিনাজপুর সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র মাদক ব্যাবসায়ীর নিকট গাঁজা বিক্রয় করে আসছে। মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
পরবর্তীতে ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানায় ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস